এখানে উল্লেখ্য যে, গত ২৫/০৫/২০২৪খ্রি. বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকায় নিহত আঃ কাইয়ুম(৬৫) এর ছেলে সহ ছোট ছোট ছেলেরা ভিকটিমের পতিত জমিতে গিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করলে ২নং আসামী কামরুল ইসলাম, ৮নং আসামী সাব্বির (২৫), ৯নং আসামী জামাল(৩৯), ১২নং আসামী হিরণ মিয়া(৩৫), ১০নং আসামী আবু তাহের(৬৫) ও ২৬নং আসামী বাচ্চু মিয়া(৪২) গণ গিয়ে তাদেরকে খেলাধুলা করতে বাঁধা নিষেধ করে। তখন আঃ কাইয়ুম(৬৫) ঘটনাস্থলে উল্লেখিত আসামীদের এমন অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করিলে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে এবং আঃ কাইয়ুম(৬৫)কে খুন জখম করার হুমকি দেয়।
ঐদিন বিকাল অনুমান ৬:০০ ঘটিকার সময় আঃ কাইয়ুম(৬৫) কেন্দুয়া থানাধীন কান্দিউড়া ইউনিয়নের নতুন বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বাহির হলে ঘটনাস্থল একই ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর রত্নাগাতী সাকিনস্থ জনৈক কারি মিয়া এর মনোহারি দোকানের সামনে রাস্তার উপর আসামী মিনারুল ইসলাম ওরফে শামীম(২৮) সহ অন্যান্য আসামীগণ ধারালো রামদা, বল্লম, ফাতরা, স্মৃতিয়া, রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রাদিতে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আঃ কাইয়ুম(৬৫)‘কে এলোপাথারিভাবে বুক, পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পারপিঠ করিলে আঃ কাইয়ুম(৬৫) গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়।
উক্ত ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ আব্দুল হাই(৬৭) বাদী হয়ে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানায় ০১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৩, তারিখ-২৯/০৫/২০২৪খ্রি. ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। বর্ণিত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায়, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ইং ০৬/০৬/২০২৪খ্রি. সময় অনুমান ১৮:১০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন নয়াপুর(চিনতলা) এলাকা হইতে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ও র্যাব-১১ এর একটি যৌথাভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০৩নং আসামী মোঃ মিনারুল ইসলাম ওরফে শামীম(২৮), পিতা-মৃত জসীম উদ্দিন, সাং-বিষ্ণপুর, থানা-কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোনাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কলমাকান্দায় ব্যক্তির জায়গা মসজিদের দখলে নেওয়ার অভিযোগ